নায়িকা হওয়ার জন্য-2

রিয়া ওর শরীরটাকে পুরো সঁপে দিয়েছে রুদ্রর কাছে। হিরোর থেকেও গাঢ় ঘন চুমু খাচ্ছে রুদ্র। ওর শরীরের মধ্যে একটা আলাদা রকম জোশ। প্রচন্ড রকম সেক্স। যেন কামের আসক্তি থাকলে তবেই চুমু খাওয়ার ধরণ এরকম হয়ে থাকে। রিয়া শুধু প্রতিদান দিচ্ছে। জানে প্রতিদানে যেন কোন খুঁত না থাকে। রুদ্র খুশী হলেই তবে ওর নিশ্চিন্তি। রাতটুকু ভরপুর এনজয়মেন্ট। তারপর কালকে নগদ অ্যাডভান্স। একেবারে কড়কড়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা। রিয়াকে আর পায় কে? ওতো সব জেনেশুনেই রুদ্রর প্রস্তাবে রাজী হয়েছে। মনপ্রাণ ঢেলে রুদ্রকে খুশী করা শুরু করেছে এখন থেকে। যেন কোন ফাঁক না থাকে।
বুকদুটো পুরো লেপ্টে গেছে রুদ্রর শরীরের সাথে। চুম্বনের গভীর স্বাদ নেবার সাথে সাথে রুদ্র হাত দিয়ে ধরে ফেলেছে রিয়ার বুকদুটোর একটাকে। রিয়া বুঝতে পারছে রুদ্র হাতে নিয়ে বুকদুটোকে চটকাতে চাইছে। প্রতিবাদ না করলে বুঝে নিতে হবে সে কি চাইছে? সন্মতি যখন পেয়েই গেছে রুদ্রও তাই হাত দিয়ে রিয়ার বুকটাকে চটকাতে শুরু করেছে। টিপতে টিপতে, চটকাতে চটকাতে দলাই মালাই আসতে আসতে বাড়তেই চলেছে। প্রশ্রয়, ইন্ধন যেন রুদ্রকে স্যাটিশফাই করছে একদম প্রথম থেকে। ওঃ ওয়াট বিগিনিং।
-তোমার বুকদুটো এত সুন্দর রিয়া। হাতে না নিলে বুঝতেই পারতাম না। ওয়াট লাভলি ইয়োর ব্রেষ্ট। আমি তারিফ না করে পারছি না।তুমি ভয় পাচ্ছো রিয়া?
-না তো?
-আর ইউ ফিলিং ইজি?
-অফকোর্স।
-তাহলে চল। এবার একটু ড্রিংকস নিয়ে বসা যাক। কি খাবে স্কচ্ না হূইস্কি?
-যেটা খুশী।
-ড্রিংক করার হ্যাবিট আছে তোমার?
-একটু আধতু।
-ফিল্ম লাইনে এগুলো কিন্তু খুব নরম্যাল। না থাকলে এখন থেকে নিজেকে প্রস্তুত করে নাও। আমার হিরোয়িনরা ড্রিংক না করলে আমার ভাল লাগে না। ধাপে ধাপে নিজেকে তৈরী করে নিতে হবে। আর ইউ রেডী?
-আমাকে পরখ করছেন? আমি হ্যাঁ বলছি তো।
-স্মার্ট গার্ল। (হাঁসতে হাঁসতে) তোমাকে সত্যিই পরখ করছি।
রুদ্র আবার ওর ঠোট ঠোটে নিল। দ্বিতীয়বার অনুরাগের ছোঁয়া দিতে রিয়া প্রস্তুত। কি দূর্দান্ত সমর্পণ। রুদ্রকে গরম করে দিচ্ছিল শুরু থেকেই। হোটেলে ডাকাটা যেন ভীষন ভাবে সার্থক হয়েছে।
হঠাতই কেমন যেন মনে ধরেছে রিয়ার রুদ্রকেও। এত সুন্দর চেহারা যার, পাবলিকের চোখে এও তো হীরো হতে পারে সহজে। তাহলে কেন শুধু শুধু ভাড়া করা হীরো? বলে দেখবে নাকি একবার রুদ্রনীল সেনগুপ্তকে। কি জবাব হবে এর উত্তরে?

-আপনিও তো স্মার্ট। নিজের ছবিতে নিজেই হীরো হিসেবে নামেন না কেন? বেশ মানাবে আপনাকে।
-তাহলে তো আবার জুটি বাঁধতে হবে। আমার যে একটা জুটি পচ্ছন্দ নয়। (হাঁসতে হাঁসতে) তারপরে আবার হিরো যদি ভিলেন হতে রাজী না হয়?
-বাবা আপনি তো বেশ মজা করেন?
-মজা করি? না না আমরা রিয়েলটা করি। হিরোরা যেটা করে সেটা কৃত্তিম। ওরা কৃত্তিম স্বর্গরাজ্যের মধ্যে নিজেদের আটকে রাখে। দেখনি কখনো? সিনেমায় হীরোর চুমু খাওয়ার দৃশ্যকে। কেমন ডিরেক্টরের হাতের পুতুল হয়ে দৃশ্যগুলোকে পালন করে। আমাদের মতন সর্বক্ষমতাবান হতে ওরা যে পারে না। ওরা শুধু ইমেজ বিল্ডিং করে। যদি একবার কাগজে কোন গসিপ কলাম বেরিয়েছে, ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা পাবলিসিটি শুরু করে দিয়েছে, ব্যাস, তাহলে আর পায়ে কে? ওটাইতো রটনা। হিরো কোন টাটকা ভাবী নায়িকাকে ভোগ করছে, বহূ নায়িকা ভোগে নিজেকে অভ্যস্ত করে ফেলেছে, যা শুনেছ সবই পাবলিসিটি স্টান্ট। ওগুলো সত্যি নাকি?
রিয়া অবাক হয়ে শুনছে। যেন স্তন্ভিত। বাক্যহারা।
-আপনার হীরো দীপককুমারও তাই?
-ওতা একটা মরা গাঙ। এমন একটা সমুদ্র, যেখানে জোয়ার আসে না। তুমি যদি তোমার শরীরের সবকিছু প্রস্তুত করে ওকে স্বাগতম জানাও, তাহলেও দেখবে প্যান্টের তলায় ওর কোন ঢেউ জাগছে না। আমরওটা পারিনা। আমাদের এটাই সব থেকে বেশী আনন্দ। যা হবে সব কিছু রিয়েল। কি বল? যেমন তোমায় পেয়েছি। আজ রাতটুকু তোমার সঙ্গ পাব, আমার বই এর পয়সাতো আর্ধেক এখানেই উঠে যাবে। তোমার কাছে এইজন্যই তো আবদারটা রেখেছি। বল এখনো বলছি। তুমি আনহ্যাপি নও তো?
-না না বার বার কেন ওকথা বলছেন? আমি তো জেনেই এসেছি।
রুদ্র হাঁসছিল, এবার একটা বেনসন হেজেস সিগারেট ধরালো। রিয়ার দিকে প্যাকেটটা বাড়িয়ে বলল-খাবে একটা?
রিয়াও প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বার করে ঠোটে গুজল। রুদ্র লাইটার জ্বালিয়ে বাড়িয়ে দিল রিয়ার ঠোটের দিকে। রিয়া সিগারেট ধরিয়ে ধোয়া ছাড়তলাগল রুদ্রর মতন।
-তুমি স্মোক কর জানতাম না।
রিয়া মনে মনে বলল-সবই তো আপনার জন্য করছি।
খুব কাছে টেনে, রিয়াকে পাশে বসিয়ে, ওর ঠোটে চুমু খেয়ে, আর বুকে আরএকবার হাত দিয়ে রুদ্র বলল-শুধু শাড়ীটী পড়ে রয়েছ তোমাকে দারুন লাগছে। ডিরেক্টরকে বলব এরকম একটা সীন রাখার জন্য ,তোমার নতুন ছবিতে।
রিয়া চুম্বনের সাড়া দিচ্ছিল, বুঝতে পারছিল একটু পরেই নিজেকে উলঙ্গ করে পরীক্ষা দিতে হবে রুদ্রর সামনে। তবু ভাল রুদ্র তো আর ওকে রেপ করছে না। সবই তো স্বেচ্ছায় হচ্ছে ব্যাপারটা। বুকের উপর হাত বোলাতে বোলাতে রুদ্র বলল-তোমার এই জিনিষটা কিন্তু খুব ভাল।
-আমার বুকদুটোকে মিন করছেন?
-হ্যাঁ কেন বলতো?
-বুক ছাড়া নারীর কোন অস্তিত্ব হয় না তাইতো?
-শুধু তাই নয়। আমি অনেক হিরোয়িনকে জানি ওরা বুক উঁচু করার জন্য বুকে প্যাড লাগায়। সেদিক দিয়ে তুমি হান্ড্রেডে হান্ড্রেড। আমার কাছে ফুল মার্কস পেয়েছ তুমি।
রিয়াকে রুদ্রর কথা শোনার পর বেশ খুশী দেখায়। রুদ্রকে আরো খুশী করার জন্য বলে-শাড়ীটা খুলব?
-না না এখন না ডারলিং। একটু পরে। আগে ড্রিংকসটা করি।
যেন আবরণ থাকলে নিরাবরণ বেশী মধুর হয়। রিয়া রুদ্রর কথামতই রুদ্রকে কম্পানী দিতে লাগল। স্কচ হূইস্কিটাকে রুম সার্ভিসে আনিয়ে গ্লাসে ঢালার পর রিয়া মুখ ঠেকিয়ে রুদ্রর গেলাসটাকে প্রসাদ করে দিল। রুদ্র স্কচ পান করতে লাগল সেই সাথে রিয়াও। মদ খেতে খেতে দুজনের সিগারেট খাওয়াটাও চলছে জোড় কদমে। রিয়াকে একটু কৌতূহলে ফেলে রুদ্র একটা কথা বলে ফেলল। রিয়া বুঝতে পারল না ব্যাপারটা কি? রুদ্র তখনকার মতন চেপে গেল। ওকে বলল-তোমাকে একটা কথা বলব রিয়া। আমার কথাটা রাখবে?
-কি?
-তুমি যদি---
-আমি যদি কি? পুরোটা বললেন না?
-না থাক। এখন নয়। পরে বলব।
রিয়া বুঝতে পারল না। রুদ্র বলল-এবার একটু শাড়ীটা খোল। তোমাকে নেকেড অবস্থায় দেখি। কেমন লাগে?
রিয়া উঠে দাঁড়িয়েঁ শাড়ীটা আসতে আসতে খুলতে লাগল

ভেবেছিল রুদ্র বোধহয় নিজের হাতেই উলঙ্গ করবে রিয়াকে। ওকে নিবারণ করে ওর শরীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। তা যখন হোল না রিয়া রুদ্রর কথামতই নির্দেশ পালন করতে লাগল। শরীর থেকে শাড়ীটা আসতে আসতে খুলতে খুলতে নিজেকে উন্মোচন করছে। প্রথমে বুক। তারপরে কোমর,পাছা, শেষ পর্যন্ত পা টাও। রিয়াকে নগ্ন অবস্থায় দেখে রুদ্রর চোখেমুখের আদল কেমন বদলে যাচ্ছে। যেন এখুনি ওর শরীরের মধ্যে নিজের বীর্যধারা বর্ষণ করবে। ওকে বিছানায় নিয়ে শুরু করবে চোদনের ক্রিয়াকলাপ। রিয়ার নগ্ন শরীরটা বেশ তাতিয়ে তুলছিল রুদ্রকে। কিন্তু শুধু রিয়ার বুকদুটোর দিকে তাকিয়ে বলল-তুমি হোচ্ছ, সেক্সিয়েস্ট নিউকামার অব আওয়ার বেঙ্গলী ফিলম ইন্ডাস্ট্রী। ওহ ওয়াট ফিগার। একবার ভেবে দেখেছ রিয়া সেন্সরের কাঁচি না পড়লে তুমি কত লোকের রাত ঘুম কেড়ে নিতে। আমারই অবস্থা খারাপ করে ছেড়ে দিচ্ছ তুমি। অনেক নায়িকা দেখেছি রিয়া, তুমি যেন একটু আলাদা। একেবারে মাইন্ড ব্লোয়িং।
শরীরের প্রশংসা শুনে ভালতো লাগছেই। কিন্তু রুদ্রর অভিপ্রায়টা কি বুঝে উঠতে পারছে না। এত দেরী কেন করছে ওকে বিছানায় নিয়ে শুতে। তাহলে কি সারা রাত শুধু চুমু আর দেহের তারিফ করেই কাটিয়ে দেবে। ওকে বিছানায় ফেলে ঢোকাবে কখন? রিয়া দেখল রুদ্র ওর শরীরটা খালি চোখ দিয়ে চাখছে। যেন নিজেকে ভেতরে ভেতরে তৈরী করছে। মনে হয় ভালো করে দম নিয়ে নিচ্ছে ভালো করে ওকে করবে বলে।
আরো রুদ্রর কাছে এগিয়ে এল রিয়া। বুঝতে চেষ্টা করছিল রুদ্র বোধহয় দেখতে চাইছে নিজে থেকে কতটা ইনিশিয়েটিভ নেয়। একেবারে মুখের কাছে ধরল নিজের জোড়া স্তন। রুদ্র ওর স্তন মুখে তুলে নেওয়ার আগে শুধু বলল-তুমি হোলে তিন তাসের তিন টেক্কা রিয়া। তোমাকে হাতে পেলে যে কোন খেলোয়াড় অবধারিত বিজয়ী। আমি তোমাকে আজ সারারাত শুধু নিজের মতন করে নিংড়ে নিতে চাই। বলে প্রবল আবেগে চুষতে শুরু করল রিয়ার খয়েরী রঙের স্তনের বোঁটা। দুটো বোঁটায় জিভের দাপট বাড়াতে বাড়াতে রুদ্র এবার ওর মাইদুটো দুহাতে ধরে বোঁটা দুটো মুখে নিয়ে চুষতে লাগল।
রিয়া আসতে আসতে স্থির হয়ে গেছে। চোখবুজে শুধু রুদ্রের জিভের আদর অনুভব করে যাচ্ছে। এমনভাবে স্তনের বোঁটা চুশতে কোন হিরোও পারবে না। রিয়া রুদ্রর মনোরঞ্জন প্রয়াসে অবস্থায় রুদ্রের চু্লে আঙুল চালিয়ে ওর মাথায় বিলি কেটে দিতে লাগল। স্তনদুটো আসতে আসতে স্ফীত হয়ে উঠছে। বোঁটদুটো পালা করে চুষতে চুষতে রুদ্রর চোখ যেন ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চাইছে। একটু আগে যাকে একরকম ভাবছিল, সে ওরকম নয়। একেবারে পাকা খিলারীর মতন রিয়ার ব্রেষ্ট সাক করে কামনাটা মিটিয়ে নিচ্ছে রুদ্র। কে জানে হয়তো এই বুকের উপর নিপল চোষার এমন সুন্দর সুযোগ আর যদি কোনদিন না জোটে।