নায়িকা হওয়ার জন্য-6

দেখতে দেখতে সন্ধে উত্তীর্ণ হোল। তখনও রুদ্রর দেখা নেই। রিয়া সেই থেকে ছটফট করছে। ওর মাথার ভেতরে সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। বারে বারে রুদ্রকে মোবাইলে ধরার চেষ্টা করছে। কিন্তু রুদ্র মোবাইল অফ করে রেখে দিয়েছে সেই সকাল থেকেই। রিয়ার মনের ভেতরে যে কি মানসিক যন্ত্রণা শুরু হয়েছে রিয়া বুঝতে পারছে হাড়ে হাড়েই। একি হোল? লোকটা এমন ভাবে প্রতারণা করল রিয়ার সাথে। কোথায় হিরো? কোথায় ডিরেক্টর? কেউ কোথাও নেই। শুধু বিশাল স্যুটটাতে রিয়একা পায়চারী করছে এক প্রতারিত নায়িকার মতন। কে যেন ওর কানে কানে বারবার বলে দিচ্ছে-তোমার সাথে ষড়যন্ত্র হয়েছে রিয়া। তুমি কি ভুল করেছ রিয়া তুমি নিজেই জানো না। এমন লোভে পড়ে অনায়াসে শরীর বিলোনোর কাজটা তুমি কেন করলে? একবারও কি যাচাই করতে পারলে না লোকটাকে? শেষ পরযন্ত প্রোডিউসার রূপী রুদ্রকে বিশ্বাস করে তুমি এমন চরন ঠকান ঠকলে? এরপরে কাউকে মুখ দেখাতে পারবে তুমি? রিয়া তুমি কি করলে?
দুটো হাত দিয়ে মুখ দুটো চেপে ধরে ধপাস করে সোফার উপর বসে পড়ল। মুখ ঢেকে হাউহাউ করে কাঁদতে লাগল রিয়া। বুঝল ওর যা সর্বনাশ হওয়ার হয়ে গেছে। এখন এই কলঙ্ক থেকে নিস্তার পাওয়ার আর কোন আশা নেই। রুদ্র লোকটা আসলে কোন প্রোডিউসার নয়। মুখোস পড়ে ওর শরীরটাকে যতটুকু ভোগ করার করে নিয়েছে। এখন এই কলঙ্কের বোঝা বয়েই ওকে সারাজীবন কাটাতে হবে।
রাত দশটার সময় একটা ট্যাক্সী ধরে কোনরকমে বাড়ী ফিরল রিয়া। ওর ব্যাগে একশটা টাকা ছিল ভাগ্যিস। হোটেল ছেড়ে বেরোনোর সময় রিসেপসনে কিছু পেমেন্ট করতে হয়নি। রুদ্র বিলটা পেমেন্টটা আগেই করে গেছে বলে বাঁচোয়া। নইলে বিলের বোঝা রিয়ার ঘাড়ে চাপত। রিয়ার তখন মরা ছাড়া আর কোন গতি থাকত না। বারবার ওর নিজের উপরই ঘেন্না করছিল। নায়িকা হওয়ার সাধ পুর্ণ করতে গিয়ে এমন ভুল কাজটা করল, তার জন্য নিজেকে কোনদিন ক্ষমা করতে পারবে না সারা জীবনে। ঘরে এসে কাউকে ব্যাপারটা কিছু না জানিয়ে পাথরের মতন চুপচাপ বসে রইল। বুঝল জীবনে ওর আর নায়িকা হওয়া সত্যি হোল না। সারাজীবনের মতন একটা আফসোস থেকেই গেল। আবার মডেলিং প্রফেশনেই ফিরে যাবে বলে নিজেকে মনস্থ করল

এই ঘটনার ঠিক পনেরো দিন পর।
দুপুর বেলা রিয়া তখন ঘরেই। মোবাইলে অজানা নম্বর থেকে একটা ফোন এলো। রিয়া হ্যালো বলার সাথে সাথেই বুঝতে পারলো প্রান্তে গলাটা রুদ্রর। রাগে ফেটে পড়ল ও। ফোনে প্রচন্ড গালিগালাজ করতে শুরু করল রুদ্রকে। রুদ্র এবার ওকে থামিয়ে মিষ্টি গলায় রসিয়ে রসিয়ে বলতে লাগল। রিয়া অবাক হয়ে শুনতে লাগল রুদ্রর কথা।
মাই ডারলিং রিয়া,
তোমাকে ফাঁদে ফেলেছিলাম বলে তোমার নিশ্চই আফসোস হচ্ছে এখন।
খেলাটা এভাবে ট্রিক্ করে যাবে আমিও ভাবিনি রিয়া।
যাই বল তোমাকে কিন্তু লুঠ করেছি তোমারই স্বইচ্ছায়।
এমন মজার খেলা খেলতে খেলতে পুর্ণ দৈর্ঘের একটা ব্লু ফিল্ম বানিয়ে নিতে পারব আমিও ভাবিনি।
এমন সুন্দরী তুমি।
ভরাট লোভজাগানো তোমার শরীর।
জানতাম তোমাকে ব্লুফিল্ম এর হিরোয়িন বানানোর প্রস্তাব দিলে তুমি হয়তো আমার মুখে থুতু দিতে।
নইলে সপাটে গালে একটা চড় মারতে।
উপায় না দেখে এমন খেলাটাই খেলতে হোল তোমার সাথে।
তুমি এত বিউটিফুল।
তোমাকে উপভোগ করতে করতে এমন একটা ছবি বানিয়ে ফেললাম রিয়া তুমি টেরই পেলে না।
ক্যামেরাটা আগে থেকেই ঘরে ফিট করা ছিল। তুমি টের পাওনি।
রিয়া আমি যদি চাইতাম, তোমাকে রেপ করতে পারতাম।
তোমাকে অজ্ঞান করে সেক্সুয়ালী অ্যাবিউস করতে পারতাম।
কিন্ত সে উদ্দেশ্য তো আমার ছিল না।
তুমি যখন তোমার শরীরটাকে আমায় ইচ্ছেমতন এনজয় করতে দিলে আমি তোমার অজান্তেই ডিজিটল ক্যামেরায় একটা লম্বা ফিল্ম বানিয়ে ফেললাম।
কি সুন্দর জীবন্ত নায়িকার মতন রোল প্লে করলে তুমি
নানা ভঙ্গীতে সেক্সুয়াল ইনটারকোর্স করার ছবি।
সত্যি রিয়া শুধুমাত্র তুমি বলেই সম্ভব হোল।
পর্ণো ফিল্মটা এখন হটকেকের মতন্ বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
রিয়া তুমি বুদ্ধিমতি।
নিশ্চই বুঝতে পেরেছ কেন এটা আমি করেছি।
নীলছবির সওদাগরকে যে তুমি চিনতে পেরেছ, তাতেই আমি খুশী।
আমি একজন ব্লু ফিল্ম নির্মাতা আর সেই ছবি সারা ভারতে এমনকি বিদেশেও ডিস্ট্রীবিউট করে বেড়াই।
তবে খুব কস্টলি ব্লু ফিল্ম বানাই।
তাই দামী দামী হোটেল ভাড়া করি সুন্দর পায়রাকে জাল পেতে ধরার জন্য।
তুমি কাউকে ঘটনা না বললে তোমার কোন ক্ষতি নেই।
বরঞ্চ বললেই তুমি কাউকে আর মুখ দেখাতে পারবে না।
যে পোজগুলোকে তুমি একটার পর একটা দিয়েছ। তোমার চরিত্রকে কেউ তখন বিশ্বাস করবে না।

রিয়া ভালো থেকো।
আর তোমার নীলছবির নায়ককে মাঝে মাঝে স্মরণ কোরো।
ছবিটা দেখে নিও। সিডিটা তোমাকে কোরিয়রে পাঠিয়েছি।
আর হ্যাঁ। পুলিশে খবর দিও না।
কারন কোন প্রমান তুমি দিতে পারবে না।
ছবিতে আমার মুখটাকে কম্পুটারে চেঞ্জ করে আরেকজনের মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আসল ভোগটা যখন করেই নিয়েছি। তখন মুখ আর রেখে লাভ কি?
তাই মন খারাপ না করে ব্লু ফিল্মটাকে এনজয় করো।
আমার ছবিতে তুমি যে সত্যি দারুন অভিনয় করেছ সেটা এবার নিজের চোখেই দেখে নাও।

রুদ্র দুম করে লাইনটা কেটে দিল। রিয়া ওকে আবার ধরার চেষ্টা করল কিন্তু পারল না। গুম হয়ে ঘরে চুপচাপ বসে রইল

দুদিন পরেই একটা ছোট পার্সেল এল কোরিয়ারের মাধ্যমে। স্পিডপোষ্ট এর খামটা যত্ন সহকারে খুলল। দেখল ভেতরে একটা সিডি। প্রেরকের নাম টা অজানা। পাঠিয়েছে রিয়াকে উদ্দেশ্য করে। রিয়া সিডিটা প্লেয়ারে চালিয়ে যতই দেখতে লাগল ওর চোয়াল দুটো ততই শক্ত হতে লাগল আসতে আসতে। যে ওদিনকারই ছবি। সব এক একটা করে ঘটছে হোটেলের স্যুটে। শুরু থেকে শেষ। ছবির নাম ‘‘এই না হলে সেক্স?’’

নায়িকা হওয়ার জন্য-5

সত্যি তাই। রুদ্র জিভ ওঠানামা করিয়ে জায়গাটা চুষে নিতে নিতে রিয়াকে বলল-এটা তোমার বলেই তো চুষতে এত ভাল লাগে রিয়া।
রুদ্রর চুলে হাত বোলাতে বোলাতে রিয়া আনন্দটাকে জীইয়ে রেখে ওর মিষ্টি গুদ চোষাতে লাগল। রিয়ার পাছাটাকে পিছন থেকে ধরে ওর যোনীরস পান করতে করতে রুদ্র বলল-তুমি আমার মিষ্টি হিরোয়িন রিয়া। তোমাকে কোনদিন আমি ভুলতে পারব না।
বারবার চুষেও বিস্বাদ লাগে না। রুদ্র যেন মিষ্টি রসের মতনই চুষছে। রিয়ার শরীরটা থরথর কেঁপে উঠেতে লাগল। জিভ লাগিয়ে ঝড় তুলে রুদ্র প্রবল আবেগে বলল-আজ থেকে আমি এটা রোজ মুখে নিতে চাই। তুমি দেবে তো আমাকে?
রিয়া চোখ বন্ধ করে বলল-দেব। তোমার সুখের জন্য এটুকু না দিয়ে আমিও যে থাকতপারব না।
রিয়াকে এবার উঠিয়ে বসিয়ে পিছন ফিরে হাঁটু মুড়ে বিছানার উপর দুহাত রাখতে বলল রুদ্র। রিয়া লদলদে পাছাদুটো রুদ্রর মুখের সামনে ধরে হাঁটু মুড়ে বসল। লিঙ্গটা পেছন থেকে যৌননালীতে ঢোকানোর আগে রিয়ার পাছায় বেশ কয়েরবার চুমু খেল রুদ্র। আসতে আসতে পেনিসটাকে ভেতরে চালনা করে ওর পিঠের উপর ছড়ানো চুলের মুঠিটা এক হাত দিয়ে ধরল পিছন থেকে রিয়াকে এবার ঠাপ মারা শুরু করল রুদ্র। রিয়ার শরীরটা তখন রুদ্রর ঠাপে কুক্কুরির মতন সামনে এগিয়ে যাছে। পেছন থেকে রিয়ার গুদ ঠাপাতে ঠাপাতে প্রবল সুখ উপলব্ধি করতে লাগল রুদ্র। যেন শরীরি উপত্যকায় ছুটন্ত ঘোড়সওয়ারের মতন ঘোড়া ছুটিয়ে চলেছে। রিয়ার চুলের গোছা ওর হাতে লাগামের মতন ধরা আছে। ঠাপাতে ঠাপাতে ছোটার গতি বাড়ছে। রিয়া মুখ দিয়ে আওয়াজ করছে আঃ আঃ আঃ। রুদ্র যেন ঘোড়া থামাতেই চাইছে না

কি অবলীলায় পেছন মেরে যাচ্ছে তখন থেকে। পশ্চাবিহারেও যেন মাতানো সুখ। রিয়ার চুলের গোছাটা দুহাতে ধরে রুদ্র পকাপকাকরে ঠাপ মারতে লাগল রিয়ার পাছায়। রিয়া দুটো হাতে ভর রেখে ওর আঘাত সহ্য করে যাচ্ছিল। নায়িকা হওয়ার জন্য কতরকম পরীক্ষায় ওকে উত্তীর্ণ হতে হচ্ছে। একবরের জন্যও ক্লান্ত হয়ে পড়ছিল না রিয়া। রুদ্র এবার ওর শরীরটাকে ঘুরিয়ে মুখটাকে সামনে নিয়ে এল। তারপর ওর খাঁড়া লিঙ্গটাকে নিমেষে ওর মুখের মধ্যে পুরে দিল। রিয়ার চুলে হাত বুলিয়ে আদর করে ওকে বলল-ডারলিং এবার একটু চোষ। তোমার মুখে দেওয়ার জন্য আমি কতক্ষণ ধরে ছটফট করছি। রিয়া রুদ্রর পেনিস মুখে নিয়ে আইসক্রিম চোষার মতন চুষতে লাগল। প্রখর উন্মাদনায় তখন শরীরের উত্তাল তরঙ্গ বারবার আছড়ে পড়ছে। একরাত্রেই রিয়াকে নিয়ে যেন কত সুখ। রুদ্র রিয়ার পেনিস চোষাটা মুখ নীচু করে দেখতে দেখতে ওকে বলল-হাও সুইট ইউ, মাই ডারলিং।
রিয়া পুরো পেনিসটা মুখ মধ্যে ঢুকিয়ে গলার মধ্যে কিছুক্ষণ ধরে রাখল। রুদ্র ওকে সাবাশি দিয়ে বলল-আই নো ইউ কেন ডু ইট রিয়া। ইউ রিয়েলি হট।
সেক্সুয়াল রেসপনস্ এর কি দূর্দান্ত সমারোহ। আজ যেন রুদ্রর সাথে দীর্ঘ যাত্রায় পাড়ি দিয়েছে রিয়া। যাত্রা কখন শেষ হবে ওরা দুজনের কেউই জানে না। রুদ্র শুধু যা আবদার করছে, রিয়া সেটাই রাখছে। উত্তেজক এমন এক নারীকে নিয়ে উত্তেজনার শেষ নেই। উপযুক্ত মাত্রাযুক্ত সুখ দিয়ে রিয়া রুদ্রকে আনন্দ দিচ্ছে। ধারাবাহিকতার কোন রকম বিরতি বা ছেদ পড়ার লক্ষণ নেই। এমন হাওয়া লেগেছে উত্তেজনার পালে যে তরী তরতর করে এগোচ্ছে। যৌনতার তুমুল অকুল পাথারে কামের নৌকা ভাসছে। দুজনের উদ্দীপনা আর কার্যকারী ক্ষমতায় মেয়াদ ফুরোচ্ছ না সহজেই।
রুদ্র এবার রিয়াকে তুলে নিয়ে চলে এল দামী সোফাটার উপর। যেখানে বসে ওরা শুরুতে ড্রিংক করছিল। নিজের পায়ের উপর রিয়াকে বসিয়ে হাত দিয়ে লিঙ্গটাকে ধরে চালান করে দিল ওর গুদ ফুটোতে। রিয়ার শরীরটাকে পেঁচিয়ে ধরে ওর স্তনের বোঁটা মুখে নিয়ে লিঙ্গটাকে তলা থেকে ঠাপ দেওয়া শুরু করল। রিয়াকে বিপরীত বিহারের সুখ দিতে দিতে আবার যেন নতুন করে উত্তেজনার নৌকায় চড়ে বসল দুজনে। ঠাপাতে ঠাপাতে এবার দুজনের হৃদযন্ত্রের গতি বেড়ে যাচ্ছে। রিয়ার বুকদুটো লাফাতে লাফাতে মাঝে মাঝে রুদ্রের ঠোটের সাথে মিলিয়ে যাচ্ছে। বুকদুটো চুষতে চুষতে রক্তিম হয়ে যাচ্ছে রুদ্রের মুখটা। সুখ পেতে পেতে যেন হিংস্র হয়ে উঠেছে। পুরুষাঙ্গটা বারবার ঠেলে ঠেলে জৈবিক আনন্দে ভেসে যাচ্ছে। রিয়ার মুখ দিয়ে তখন আসতে আসতে বের হতে শুরু করেছে আরামসূচক গোঙানি। রুদ্রর লিঙ্গ শিথিল হওয়ার কোন লক্ষণ নেই। বারবার যৌনাঙ্গের উপর আছাড় পাছাড় খেয়ে মাথা ঠুকছে একটুকরো নরম মাংস। বীর্যসঞ্চারক রসের থলি থেকে এবার রস ঝড়ে পড়ল বলে। রুদ্র রিয়ার ঠোটে এবার দীর্ঘস্থায়ী চুম্বন দিয়েছে। ঠোটটাকে মুক্তি দিতে চাইছে না। সব রস শুষনিতে চাইছে। অন্ডকোষের বীর্যভান্ডার থেকে এবার বীর্যপাত আসন্ন।
এক, দুই, তিনআট, নয়, দশ--- পনের, ষোল, দুই অঙ্গের মহামিলন সংগীত। ঝড় শেষ পর্যন্ত সাইক্লোনের পর্যায়ে চলে গেল। রুদ্র তাড়াতাড়ি রিয়ার ফুটোর মধ্যে থেকে পেনিসটা বার করল। রিয়াকে মাটিতে বসিয়ে ওর মুখে ধরল থরথর কম্পমান পুরুষাঙ্গ। অক্লেশে, সাগ্রহে রিয়া মুখগহ্বরে গ্রহণ করল ওর লিঙ্গমুখ। গোঙানির সাথে বলার চেষ্টা করল-দাও দাও। রুদ্রর সারিত ঔরস সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করল। রুদ্র যতক্ষণ না শেষ হয় ওর মুখে ওটা ছড়িয়ে দিতে গল। ক্রমশ রিয়ার গোলাপী ঠোটটা সাদা রসে ঢেকে গেল। যৌন গন্ধময় বিচিত্র নোনতা স্বাদে রিয়ার মুখটা ভরে যেতে লাগল। বিনা বাঁধায় এবার সেই প্রবাহ ঝলকে ঝলকে নেমে গেল ওর কন্ঠনালী দিয়ে পেটের মধ্যে। আনন্দের অমৃতধারা আকন্ঠে পান করতে লাগল রিয়া।
রুদ্র রিয়ার চুলে হাত বোলাতে বোলাতে বলল-তোমাকে আমার চিরজীবন মনে থাকবে।


রিয়া যেন দারুন ভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে রুদ্রর প্রতি। নইলে প্রথম দিনই এভাবে সমর্পণ। সবই আকর্ষনের প্রভাব। কত সহজেই ঘটে গেল ব্যাপারটা। যাকে বলে হাতের মুঠোয় যৌনতা। কেরিয়ারের বলিদান দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে বিলিয়ে দিল শরীরটাকে। সামনে এখন বর্ণময় ভবিষ্যত। রুদ্রকে সম্বল করেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে জীবনটাকে। রিয়া যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিল শয়শয়ে অটোগ্রাফের খাতা ধেয়ে আসছে ওর দিকে। সাংবাদিক নোট প্যাড রেখে ওকে প্রশ্ন করছে-ম্যাডাম আপনার এই সাফল্যের পিছনে আসল রহস্যটা কি? একটু যদি বলতেন। উত্তর একটাই। রুদ্র রুদ্র আর রুদ্র। তিনি না হলে আজকে এই জায়গায় আমি আসতে পারতাম না।
-উনি কে?
-উনিই আমাকে প্রথম রেক দিয়েছেন। আমার ছবির প্রযোজক। এবং সেই সাথে নায়কও। বর্তমানে উনি আমার----
রিয়া একমনে মাটিতে বসে ভাবছিল। হঠারুদ্র ওকে কিছু বলাতে ভাবনাটা থেমে গেল। একটা সিগারেট ধরিয়ে রুদ্র রিয়াকে বলল-চল ডারলিং। এবার আমরা ডিনার সেরে শুয়ে পড়ি।
-আমি খাব না। তুমি খাও।
-সে কি? তুমি ছাড়া আমার একা একা ডিনার সারতে ভাল লাগবে? আজ থেকে তুমিই তো আমার সবকিছু।
রিয়াকে কাছে ডেকে ওর ঠোটে চুমু খেল রুদ্র। পকেট থেকে পার্স বার করে ওকে একটা দারুন চমকপ্রদ ছবি দেখাল রুদ্র। রিয়া ছবিটা দেখে ভীষন ফুল্ল হয়ে উঠল।
-একি তোমার পকেটে অমিতাভ বচ্চনের ছবি?
মুচকী হেঁসে রুদ্র বলল-এই লোকটার সাথে আমার কি খাতির আছে জান?
রিয়া অবাক চোখে বলল-তাই। তোমার সাথে আলাপ আছে?
-আলাপ মানে? এমন ব্যাক্তিত্ব ওয়ালা লোক ফিলম ইনডাসট্রীতে আর আছে নাকি? আমার সাথে দারুন খাতির। আমাকে উনি অনেকবার বলেছেন, ভাল কোন নায়িকার খবর থাকলে আমাকে অবশ্যই জানিও।
রুদ্রর কথা শুনে রিয়া যেন আরো আপ্লুত হয়ে উঠল।
ওর দৃষ্টিভঙ্গিতে অদ্ভূত ফল্ল আলোর আভাস দেখে রুদ্র বলল-উনিও নতুন ছবির জন্য নায়িকা খুজছেন। এই তো কদিন আগেই আমায় বলছিল, বেশ স্মার্ট এবং সুন্দর একটা মেয়ে আমার ছেলের জন্য জোগাড় করে এনে দিতে পারো। ভাবছি নতুন ছবিতে সাইন করাব।
-ছেলে মানে অভিষেক বচ্চনের নায়িকার জন্য সিলেকসান?
-হ্যাঁ। ভাবছি। তোমার নাম প্রস্তাব করব।
আনন্দে অধীরা হয়ে রিয়ার চোখে স্বপ্লিল ভাব জমে উঠল। রুদ্র রিয়াকে জড়িয়ে ধরে আরেকবার ওর ঠোটে চুমু খেয়ে বলল-তুমি ঘাবড়ে যাচ্ছ ডারলিং?
স্বপ্নে বিভোর রিয়া উত্তর দিল-না না ঘাবড়ে যাচ্ছি না।
-তোমাকে দেখেই আমার মনে হয়েছিল, এমন একটা প্ল্যাটফর্ম তোমাকে না দিলে তোমার সাথে খুব অন্যায় হয়ে যাবে। তাই নায়িকা হওয়ার কেরিয়ারটা তোমার সামনে আমি এনে দিলাম।
উত্তেজনার লালিম রেখা রিয়ার চোখে মুখে ফুটে উঠছিল। রুদ্র বলে যেতে গল-দেখবে রিয়া তুমি খুব তাড়াতাড়ি খ্যাতির শীর্ষে পোছে যেতে পারবে। খালি অ্যাকটিংটা তোমাকে একটু ঘষে মেজে নিতে হবে। আমি তো তার জন্য আছিই। তোমার কোন চিন্তা নেই আজ থেকে। শিঘ্রিই বচ্চন সাহেবের সাথে কথা বলে আমি তোমাকে নিয়ে মুম্বাই যাব। তোমার অভিনীত ছবি তখন সারা ভারত থেকে আত্মপ্রকাশ করবে। প্রচুর টাকা উপার্জন করে তোমাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আজ যারা নিজেদের ফ্রী করে উষ্ন মেলামেশায় অন্তরঙ্গ হয়ে ওঠে। তারাই লাইনে সাফল্য পায়। তুমিও পাবে।
রিয়া যেন আর খুশীর উচ্ছ্বাসটাকে চেপে রাখতে পারছে না। ডিনার সেরে ওর চোখে এবার ঘুম ঘুম আসছে। কিন্তু রুদ্রের মুখে সব কথা শুনতে আরো যেন ইচ্ছে করছে। দুরন্ত চুমুতে রুদ্রের ঠোটের সাথে নিজের ঠোট মিলিয়ে দিতে দিতে বলল-তোমাকে না পেলে আমি বোধহয় জীবনের অনেক কিছু হারাতাম। আজ আমার ভীষন ভালো লাগছে। চল এবার আমরা শুয়ে পড়ি।
রুদ্র রিয়া দুজনে নগ্ন অবস্থাতেই বিছানায় শুয়ে পড়ল। রিয়ার বুকে মাথা রেখে মাঝে মধ্যে বুকদুটো অল্প একটু চুষতে চুষতে রুদ্র বলল-আজ শুধু এটাই দেখলাম, টপ ফিল্ম ওয়ার্ল্ডে তুমি নিজেকে কতটা মানিয়ে নিতে পারবে। তোমাকে তো আমির খ্যাতির উচ্চমার্গে তুলবই রিয়া। শুধু ভালবাসা হিসাবে এই পুরষ্কারটকু তোমার কাছে আশা করেছিলাম। আজ তুমি তা দিয়ে আমাকে ভরিয়ে দিযেছ। কাল তুমি সকাল হলে পৃথিবীটাকে অন্যরকম দেখবে। তখন আমার কথা তোমার আরো বেশী করে মনে পড়বে। রিয়া ইউ আর রিয়েলি লাকি গার্ল টু মি। আই এনজয়েড ইউ ভেরী মাচ।
রিয়া অঘোরে ঘু্মোচ্ছে। রুদ্রর শেষ দুটো তিনটে কথা ভালো করে শুনতে পায়নি। সকাল না হলে আর ঘুম ভাঙবে না। এবার একটু বিশ্রাম দরকার। কাল থেকে নতুন জীবন। নায়িকা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর এখন রুদ্রকে নিয়েই সব কিছু আশা করছে। রাতটুকু পেরোনো না পর্যন্ত ওর যেন আর তর সইছে না

সকালবেলা চোখ খুলে এরকম কোনদিন হয়নি। রিয়া অনুভব করল ওর মাথার কাছটা ভীষন ভারভার। কেউ যেন ওকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল এতক্ষণ। গভীর ঘুমে ডুবে ছিল বলে বুঝতে পারেনি। হঠাজ্ঞান ফিরলে যেমন হয়। রাতের ঘুম আর সচেতনতার ফেরার পার্থক্যটা বুঝতে পারছিল। কপালে হাত দিয়ে দেখল জ্বর নেই। তবু যেন তীব্রতর আচ্ছন্নতায় আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়েছিল এতক্ষণ। কে যেন ওকে একটু বেশী করেই ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিল। বিছানা ছেড়ে উঠতে উঠতে দুটো পায়ের মধ্যে আর কোমরে সামান্য ব্যাথা অনুভব করল ও। কাল রাত্রিতে রুদ্রর সাথে লড়াইটা লড়তে লড়তে এখন সারা গায়ে খিচ ধরে গেছে। এতটা দীর্ঘ সঙ্গম না করলেই বোধহয় ভালো হোত। রুদ্রকে খুশী করতে গিয়ে নিজের উপরই অত্যাচার হয়ে গেছে। রিয়ার মনে হচ্ছিল এতটা বাড়াবাড়ি না করলেই ঠিক ছিল। পাশবিক প্রবৃত্তি বিনিময় করতে গিয়ে নিজেই অস্বস্তি কে এনেছে নিজের শরীরের উপর।
আয়নায় নিজেকে দেখল। উলঙ্গ শরীরটা যেন বিধস্ত দেখাচ্ছে। আদিম যৌনখেলা খেলতে খেলতে কাহিল হয়ে পড়েছে। এখন একটু চান করে ফ্রেশ হয়ে নিতে হবে। নইলে এবার ফিলম লাইনের লোকজন আসা শুরু করলে মুশকিল হয়ে যাবে।
টেবিলের উপর অ্যাসট্রেটায় নজর পড়ল রিয়ার। একটা আস্ত সিগারেট জ্বালিয়েও না খেয়ে রেখে দিয়েছে রুদ্র। সিগারেট থেকে এখনো অল্প অল্প ধোঁয়া বেরোচ্ছে। কিন্তু সিগারেটটা যে ধরিয়েছিল সে নেই। অবাক হোল রিয়া। রুদ্র এই সুটের মধ্যে কোথাও নেই। অথচ সিগারেটটা নেভায় নি। ওটা জ্বলছে। ঘরের মধ্যেই উলঙ্গ অবস্থায় এদিক ওদিক ঘুরতে লাগল রিয়া। বার্থরুমটাও দেখল। কিন্তু রুদ্রর কোথাও কোন অস্তিত্ব খুঁজে পেল না।
না বলে এমন ভাবে কেন চলে গেল? তাহলে কি কোন কাজ পড়েছে? হয়তো একটু বাদেই ঘুরে আসবে। রিয়া ঘুমোচ্ছিল বলে রিয়াকে জাগাতে চায়ে নি। অযথা শুধু শুধু চিন্তা করে কোন লাভ নেই। রিয়া ভাবল রুদ্রকে না দেখে টেনশন করছে এর কোন মানেই হয় না। যে লোকটা কাল ওর এত প্রেমে পড়ে গেছে, সে নিশ্চই কোন দরকারে বেরিয়েছে। ঠিক এসে আবার হাজির হবে। তার আগে নিজের লুক্ টাকে একটু চেঞ্জ করা দরকার। সারারাত ধরে ধ্বস্তাধস্তি করে যা অবস্থা হয়েছে। রুদ্র দেখলে কনট্রাকটাই হয়তো হাতছাড়া হয়ে যাবে।
রিয়া বার্থরুমে ঢুকল ফ্রেশ হতে। শাওয়ারে চুল ভেজাতে ভেজাতে একটা হিন্দী গানের কলি গুনগুন করে আওড়াতে লাগল। রুদ্র তখনও ওর মনে প্রভাব বিস্তার করে রয়েছে। স্নান সেরে শাড়ী পড়ে আবার টিপটপ হোল রিয়া। এর মাঝে রুম সার্ভিসের লোক এসে চা দিয়ে গেল। চা খেতে খেতে রুদ্রর কথাই ভাবতে লাগল। কিন্তু তখনও রুদ্রর কামব্যাক ঘটল না হোটেলর দামী স্যুটে। রিয়া এবার বেশ চিন্তায় পড়ে গেল। মোবাইলটা হাতে নিয়ে রুদ্রর লাইন মেলানোর চেষ্টা করল। দেখল রুদ্রর মোবাইলের সুইচ অফ করা আছে। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল। রিয়া বুঝেই উঠতে রল না ভোজবাজীর মতন লোকটা সাতসকালে কোথায় উবে গেল। এতো দেখছি মহা বিপদ হোল